ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাধা হতে পারে যে কাজগুলো
দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় :
২৩-১০-২০২৪ ০৮:৪২:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৩-১০-২০২৪ ০৮:৪২:২৫ অপরাহ্ন
ডায়াবেটিসের সঙ্গে বসবাস করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সময়মতো ওষুধ খাওয়া, রক্তে শর্করার মাত্রা নিরীক্ষণ এবং সঠিক ধরনের খাবার খাওয়া- সব মিলিয়ে খেয়াল রাখতে হয় অনেক দিকেই।
কিছু খাবার আপনার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে, কারণ সেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রায় আকস্মিক বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ-কার্ব খাবার এবং পানীয়, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ভাজা খাবার এবং সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক - চিনি। আপনি যে ধরনের খাবার খান কেবল তা-ই নয়, অন্যান্য জীবনযাপনের ধরনও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাধা হতে পারে। জেনে নিন ডায়াবেটিস থাকলে কোন কাজগুলো এড়িয়ে চলবেন
১. চিনির বদলে গুড় বা মধু খাওয়া
ডায়াবেটিস ডায়েটে চিনি মানেই সেটি এড়িয়ে চলতে হবে। এটি পরিমিতভাবে খাওয়া যেতে পারে তাও শুধুমাত্র মাঝে মাঝে। কিন্তু চিনির বদলে গুড় বা মধু খেলে কোনো লাভ হবে না। ভুলে গেলে চলবে না যে গুড় এবং মধুতেও চিনি থাকে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলোও পরিমিত খাওয়া উচিত।
২. সাধারণ কার্বোহাইড্রেট বেশি খাওয়া
প্রচুর সাধারণ কার্বোহাইড্রেট খাওয়া এড়ানো উচিত। এর কারণ হলো সহজ কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। পুষ্টিবিদরা সাধারণ এবং জটিল কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য দিয়ে খাদ্যকে সমৃদ্ধ করার পরামর্শ দেন। জটিল কার্বোহাইড্রেট হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং, আপনার খাদ্যতালিকায় ওটস, কুইনোয়া বা ব্রাউন রাইস রাখুন।
৩. খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন না থাকা
আপনি যে পরিমাণ প্রোটিন খান তাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশাল ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি আপনার খাবারে শুধুমাত্র রুটি এবং সবজি খান, তবে এটি পরিবর্তন করার সময় এসেছে। প্রোটিন ধীরে ধীরে গ্লুকোজে ভেঙে যায়, এইভাবে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে। তাই দিনের সব খাবারেই প্রোটিন থাকা জরুরি।
৪. ফাইবার দিয়ে খাবার শুরু না করা
পুষ্টিবিদদের মতে, সবসময় ফাইবারের উৎস দিয়ে খাবার শুরু করা উচিত। সুস্বাদু সালাদ বা স্যুপ বেছে নিন। এটি আপনার পক্ষে কাজ করবে, কারণ ফাইবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পর যখন কিছু খাবেন, তখন আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অন্যদিকে, ফাইবার এড়িয়ে গেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে এবং হ্রাস পেতে পারে।
৫. শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হওয়ার আরেকটি কারণ হলো শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা। আপনি সমস্ত খাদ্যতালিকাগত নির্দেশিকা অনুসরণ করছেন কিন্তু শারীরিকভাবে সক্রিয় নন। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তুলতে পারে এবং শর্করার উচ্চতার কারণ হতে পারে। দৈনন্দিন রুটিনে কিছু ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ যোগ করুন, কারণ এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV
কমেন্ট বক্স